দেশের প্রতিটি স্কুলে ‘পাঠশালা’ দেখানো হোক: আসিফ
বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘পাঠশালা’। ট্রেলার মুক্তি দিয়েই সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিলো ছবিটি। তবে বড় পর্দায় ছবিটির মুক্তি নিয়ে ছিলো অনিশ্চয়তা। অবশেষে ‘পাঠশালা’র মুক্তির তারিখ জানালেন দুই নির্মাতা আসিফ ইসলাম ও ফয়সাল রদ্দি। ভারত, জার্মানি ও কানাডার বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনের পর আগামি ২৩ নভেম্বর বড় পর্দায় আসছে ‘পাঠশালা’। দশ বছরের এক মেধাবী পথশিশু মানিকের জীবন জয়ের অদম্য গল্প নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রটি নিয়েই চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে বুধবার সন্ধ্যায় কথা হয় নির্মাতা আসিফ ইসলামের। কথা হয় ‘পাঠশালা’র নির্মাণ, মুক্তিসহ স্বাধীন চলচ্চিত্রের নানা বিষয় নিয়ে। শুরুতেই নির্মাতার কাছে প্রশ্ন-
‘পাঠশালার কী খবর’?
অবশেষে ২৩ নভেম্বর আমরা ‘পাঠশালা’ রিলিজ দিচ্ছি। আপাতত ঢাকার মধ্যে বসুন্ধরায় স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনায় কনফার্ম হয়েছে। বলাকা ও শ্যামলীতে কথা চলছে। আশা করছি ইতিবাচক ফল পেতে পারি। তবে এই দুটি সিনেমা হলে এখনো কনফার্ম হয়নি। আর এদিকে চট্টগ্রামে যে মিনিপ্লেক্স আছে সেখানে মুক্তির কথা চলছে। এরকম আরো বেশ কয়েকটি জায়গায় ‘পাঠশালা’ মুক্তি নিয়ে কথা হচ্ছে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়!
অবশেষে ২৩ নভেম্বর আমরা ‘পাঠশালা’ রিলিজ দিচ্ছি। আপাতত ঢাকার মধ্যে বসুন্ধরায় স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনায় কনফার্ম হয়েছে। বলাকা ও শ্যামলীতে কথা চলছে। আশা করছি ইতিবাচক ফল পেতে পারি। তবে এই দুটি সিনেমা হলে এখনো কনফার্ম হয়নি। আর এদিকে চট্টগ্রামে যে মিনিপ্লেক্স আছে সেখানে মুক্তির কথা চলছে। এরকম আরো বেশ কয়েকটি জায়গায় ‘পাঠশালা’ মুক্তি নিয়ে কথা হচ্ছে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়!
মানে আপাতত ঢাকা-চট্টগ্রামে ছবিটি মুক্তি দিচ্ছেন?
আমরা সিলেটেও ছবিটি মুক্তি দিতে চাই। সেখানে ছবিটি মুক্তি দিতে সেখানকার অর্গানাইজারদের সাথে কথা বলতে আগামি পরশু সিলেট যাচ্ছি। সেখানে হয়তো কোনো সিনেমা হলে মুক্তি দিবো না, সিলেট অডিটোরিয়ামে পাঠশালা মুক্তি দেয়ার চেষ্টা করছি। যারা অর্গানাইজার তাদের সাথে কথা বলে সেখানে কয়দিন চলবে, কীভাবে চলবে তা ঠিক করা হবে।
আমরা সিলেটেও ছবিটি মুক্তি দিতে চাই। সেখানে ছবিটি মুক্তি দিতে সেখানকার অর্গানাইজারদের সাথে কথা বলতে আগামি পরশু সিলেট যাচ্ছি। সেখানে হয়তো কোনো সিনেমা হলে মুক্তি দিবো না, সিলেট অডিটোরিয়ামে পাঠশালা মুক্তি দেয়ার চেষ্টা করছি। যারা অর্গানাইজার তাদের সাথে কথা বলে সেখানে কয়দিন চলবে, কীভাবে চলবে তা ঠিক করা হবে।

হ্যাঁ, আমি আর ফয়সাল রদ্দি। আসলে ছবিতে আমরা দু’জন মিলে চারটা কাজ করি। আমি পরিচালক প্লাস ডিওপি। আর ফয়সাল হচ্ছে পরিচালক প্লাস রাইটার। আমরা আবার ছবিটি এডিটও করেছি। ছবিতে গানের সুর আবার ফয়সালের। ইন্ডিপেন্ডেন্ট ছবি যেভাবে হয় আরকি!
এখন তাহলে সিনেমা নিয়ে দু’জনকেই দৌড়াতে হচ্ছে?
সিনেমা মুক্তি নিয়েই স্ট্রাগল করছি। তবে এটা ভালো লাগছে যে অবশেষে ছবিটি বড় পর্দায় মুক্তি দিতে পারছি। আমাদের মিডিয়া পার্টনার দুরন্ত টেলিভিশন। যেহেতু এটি একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র এবং তাদের থিমের সাথে আমাদের চলচ্চিত্রেরও সাদৃশ্য আছে। আগামি কয়েকদিনের মধ্যে দুরন্ততে আমাদের ফিল্মের প্রমো দেখানো শুরু করবে।
সিনেমা মুক্তি নিয়েই স্ট্রাগল করছি। তবে এটা ভালো লাগছে যে অবশেষে ছবিটি বড় পর্দায় মুক্তি দিতে পারছি। আমাদের মিডিয়া পার্টনার দুরন্ত টেলিভিশন। যেহেতু এটি একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র এবং তাদের থিমের সাথে আমাদের চলচ্চিত্রেরও সাদৃশ্য আছে। আগামি কয়েকদিনের মধ্যে দুরন্ততে আমাদের ফিল্মের প্রমো দেখানো শুরু করবে।
ঢাকার বাইরে ছবি নিয়ে যাওয়ার প্ল্যান কী?
পাঠশালা যে জনরার ছবি এটা নিয়ে শুরুতেই মেসিভ ভাবে গিয়েও বিশেষ লাভ নেই। আমরাও লিমিটেড হলে ছবিটি মুক্তি পাক সেটাই চাইছি। তবে ঢাকার বাইরে সিলেট, চট্টগ্রাম ও বরিশালে ছবিটি দিতে চাইছি। টিমের ক্যু-মেম্বারদের শহরগুলোতেও তাদের উদ্যোগে যাওয়ার চেষ্টা করছি। থিয়েট্রিকেল রিলিজের পর স্লোলি ছবিটি নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছবিটি নিয়ে যাওয়ারও আমাদের প্ল্যান আছে।
পাঠশালা যে জনরার ছবি এটা নিয়ে শুরুতেই মেসিভ ভাবে গিয়েও বিশেষ লাভ নেই। আমরাও লিমিটেড হলে ছবিটি মুক্তি পাক সেটাই চাইছি। তবে ঢাকার বাইরে সিলেট, চট্টগ্রাম ও বরিশালে ছবিটি দিতে চাইছি। টিমের ক্যু-মেম্বারদের শহরগুলোতেও তাদের উদ্যোগে যাওয়ার চেষ্টা করছি। থিয়েট্রিকেল রিলিজের পর স্লোলি ছবিটি নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছবিটি নিয়ে যাওয়ারও আমাদের প্ল্যান আছে।
ছবি মুক্তির আগে ক্যাম্পেইন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ ‘দেবী’। আপনাদের প্ল্যান কী?দেবীরতো চমৎকার মার্কেটিং ছিলো। অবশ্যই দৃষ্টান্তপূর্ণ। কিন্তু আমরাতো স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা। আমাদের ছবির এখনো টাইটেল স্পন্সরই ঠিক হয়নি। আমাদের পেছনে বড় কোনো ইনভেস্টর নেই। ফলে আমরা মেসিভ প্ল্যানও করতে পারছি না। আমরা খুবই ছোট টিম, আমাদের মতো করে যা পারছি সিনেমাটির প্রচারণায় তাই আসলে করে চলেছি।
‘পাঠশালা’র সাবজেক্ট নির্বাচন নিয়ে একটু বলি এবার। এরকম বিষয় নিয়ে সিনেমা নির্মাণের ভাবনা কীভাবে এলো?
‘পাঠশালা’র স্ক্রিপ্টের জন্ম কিন্তু আরো ৫ বছর আগের। এই ছবির পরিচালক আমি আর ফয়সাল রদ্দি। আমরা দুজনেরই ব্যাকগ্রাউন্ড হচ্ছে আমরা ডকুমেন্টারি ফিল্ম মেকার। দুজনেই ছিলাম দেশের বাইরে। একটি ফরেন এনজিওর প্রজেক্ট করতে যেয়েই মূলত ‘পাঠশালা’র চিন্তা মাথায় আসে আমাদের। তারা আমাদের প্রোডাকশন থেকে ডকুমেন্টারি নির্মাণ করতে হায়ার করেছিলো। ‘স্কুল’ নামের একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করতে যেয়ে পথশিশু ও ড্রপআউট শিশু ছিলো সেই ডকুমেন্টারির বিষয়। তো এটা নিয়ে কাজ করার সময়ই আমার আর ফয়সালের মাথায় ফিকশন করার চিন্তা এলো।
‘পাঠশালা’র স্ক্রিপ্টের জন্ম কিন্তু আরো ৫ বছর আগের। এই ছবির পরিচালক আমি আর ফয়সাল রদ্দি। আমরা দুজনেরই ব্যাকগ্রাউন্ড হচ্ছে আমরা ডকুমেন্টারি ফিল্ম মেকার। দুজনেই ছিলাম দেশের বাইরে। একটি ফরেন এনজিওর প্রজেক্ট করতে যেয়েই মূলত ‘পাঠশালা’র চিন্তা মাথায় আসে আমাদের। তারা আমাদের প্রোডাকশন থেকে ডকুমেন্টারি নির্মাণ করতে হায়ার করেছিলো। ‘স্কুল’ নামের একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করতে যেয়ে পথশিশু ও ড্রপআউট শিশু ছিলো সেই ডকুমেন্টারির বিষয়। তো এটা নিয়ে কাজ করার সময়ই আমার আর ফয়সালের মাথায় ফিকশন করার চিন্তা এলো।

Advertisement
ছবির জন্য মোটিভেশনাল গল্প বেছে নিলেন কেন?
যেহেতু এটা আমাদের প্রথম ফিল্ম তাই এন্টারটেইনিং বিষয়টা মাথায় রেখেছি এবং একটা পজিটিভ বিষয়কে স্ক্রিনপ্লে করার চেষ্টা করেছি। বড় বড় এনজিওকে দেখি তারা ফান্ড রেইজ করছে, আমাদের হেল্প করছে কিন্তু আমরা সেইসব পথশিশু ও ঝরে পড়া শিশুদের জন্য পজিটিভ থট নিয়ে একটি সিনেমা করার চেষ্টা করেছি। ইনফেক্ট আমাদের ফিল্মের সাথে ‘মাস্তুল ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংগঠন জড়িত। যারা পথশিশুদের নিয়ে কাজ করে।
যেহেতু এটা আমাদের প্রথম ফিল্ম তাই এন্টারটেইনিং বিষয়টা মাথায় রেখেছি এবং একটা পজিটিভ বিষয়কে স্ক্রিনপ্লে করার চেষ্টা করেছি। বড় বড় এনজিওকে দেখি তারা ফান্ড রেইজ করছে, আমাদের হেল্প করছে কিন্তু আমরা সেইসব পথশিশু ও ঝরে পড়া শিশুদের জন্য পজিটিভ থট নিয়ে একটি সিনেমা করার চেষ্টা করেছি। ইনফেক্ট আমাদের ফিল্মের সাথে ‘মাস্তুল ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংগঠন জড়িত। যারা পথশিশুদের নিয়ে কাজ করে।

আমাদের ফিল্মের গল্পটা মূলত যেসব শিশুদের স্কুলে যাওয়ার ফিনানশিয়াল সাপোর্ট নেই, যাদেরকে প্রতিনিয়ত কাজ করে বাঁচতে হয়, পড়াশোনাটা কন্টিউ করতে পারে না। মূলত তাদের নিয়েই সিনেমাটা। ছবিতে মানিক নামের একজনকে দেখা যাবে কেন্দ্রীয় চরিত্রে। যে গ্রাম থেকে শহরে আসে কাজের প্রয়োজনে। প্রতিদিন কাজ করতে যাওয়ার সময় একটা স্কুল দেখে সে। তারও ইচ্ছে জাগে এই স্কুলে পড়ার। সে পড়াশোনা কন্টিনিউ করতে চায়। শেষ পর্যন্ত সে ওই স্কুলটিতে কীভাবে ভর্তি হতে পারলো, সেটা নিয়েই এই ছবির গল্পটা।
রিয়েলিটিতো এমন না। সাধারণত এমনটা কখনো দেখা যায় না। কাজ থেকে কয়টা বাচ্চা নিজের ইচ্ছে থাকলেও আবার স্কুলে নিয়মিত হতে পারে? এটা আসলে হয় না। কাজেই আমরা রিয়েলেটির বাইরে গিয়ে কাজটি করেছি। মোটিভেশনাল টোল হিসেবে এটা আমরা ‘পাঠশালা’য় দেখাতে চেয়েছি যে এটা সম্ভব। দশ বছরের একটি ছেলে এটা পারলে তুমিও পারবে, এমন একটা ইন্সপিরেশন ছবিতে দেখানোর চেষ্টা করেছি। এই ছবিটা দেখে একটা বাচ্চাও যদি এটা বিশ্বাস করে যে, মানিকের মতো সেও কাজ করার পাশাপাশি স্কুলও চালিয়ে যাবে তাহলেই আমাদের সাকসেস।
বাহ! পাঠশালা বেশ সিনেমাটিক হবে বলেই মনে হচ্ছে…
হ্যাঁ।
স্বাধীন নির্মাতাদেরতো প্রচুর প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। পাঠশালা নির্মাণ করতে যেয়ে এখন পর্যন্ত কি তেমনটা মনে হয়েছে?
মেকিংয়ে আমরা খুব স্মুথ ছিলাম। রিয়েল লোকেশনে শুট করেছি। বাচ্চাদের নিয়ে কাজ যতটুকু স্মুথলি করা যায় আমরা করেছি। কিন্তু আমরা মূল যে জায়গাটায় এসে সাফারার সেটা হলো ডিস্ট্রিবিউশন। সিনেমা শেষ করে এসে এখানেই আমরা প্রথম ধাক্কা খেলাম। দেখলাম, সিনেমা ডিস্ট্রিবিউশনে প্রপার কোনো স্ট্রাকচার নেই বাংলাদেশে। আমাদের সিনেমা কিন্তু দুই বছর হয়েছে কমপ্লিট করেছি। লাস্ট দেড় বছর লাগলো সিনেমাটাকে মুক্তির দোরগোড়ায় নিয়ে আসতে। শেষ পর্যন্ত নিজেরাই ডিস্ট্রিবিউট করছি। ফিল্মমেকার হিসেবে যা করার দরকার, সেটা কিন্তু আমরা বহু আগেই শেষ করেছি। কিন্তু মার্কেটিং ও ডিস্ট্রিবিউশনে কোনো প্রপার স্ট্রাকচার নেই বলেই ছবি মুক্তি দিতে এতোদিন লাগলো।
হ্যাঁ।

মেকিংয়ে আমরা খুব স্মুথ ছিলাম। রিয়েল লোকেশনে শুট করেছি। বাচ্চাদের নিয়ে কাজ যতটুকু স্মুথলি করা যায় আমরা করেছি। কিন্তু আমরা মূল যে জায়গাটায় এসে সাফারার সেটা হলো ডিস্ট্রিবিউশন। সিনেমা শেষ করে এসে এখানেই আমরা প্রথম ধাক্কা খেলাম। দেখলাম, সিনেমা ডিস্ট্রিবিউশনে প্রপার কোনো স্ট্রাকচার নেই বাংলাদেশে। আমাদের সিনেমা কিন্তু দুই বছর হয়েছে কমপ্লিট করেছি। লাস্ট দেড় বছর লাগলো সিনেমাটাকে মুক্তির দোরগোড়ায় নিয়ে আসতে। শেষ পর্যন্ত নিজেরাই ডিস্ট্রিবিউট করছি। ফিল্মমেকার হিসেবে যা করার দরকার, সেটা কিন্তু আমরা বহু আগেই শেষ করেছি। কিন্তু মার্কেটিং ও ডিস্ট্রিবিউশনে কোনো প্রপার স্ট্রাকচার নেই বলেই ছবি মুক্তি দিতে এতোদিন লাগলো।
এরআগেও স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতারা এই জায়গাটার কথাই স্পষ্ট করে বলেছেন…
হ্যাঁ, আমাদের শুটিংয়ে কোনো ডিলে ছিলো না, প্ল্যান যেভাবে ছিলো সেভাবেই আমরা এগিয়েছি। কিন্তু ডিস্ট্রিবিউশনে এসে আমরা নিরূপায় হয়ে পড়লাম। আমাদের মনে হলো, এই জায়গাটা ফিল্মমেকিংয়ের চেয়েও আরো বেশি জ্ঞানের প্রয়োজন। এই জটিলতা সম্পর্কে আমাদের মিনিমাম ধারণা ছিলো না।
হ্যাঁ, আমাদের শুটিংয়ে কোনো ডিলে ছিলো না, প্ল্যান যেভাবে ছিলো সেভাবেই আমরা এগিয়েছি। কিন্তু ডিস্ট্রিবিউশনে এসে আমরা নিরূপায় হয়ে পড়লাম। আমাদের মনে হলো, এই জায়গাটা ফিল্মমেকিংয়ের চেয়েও আরো বেশি জ্ঞানের প্রয়োজন। এই জটিলতা সম্পর্কে আমাদের মিনিমাম ধারণা ছিলো না।
ডিস্ট্রিবিউশনের জায়গায় এসেই অনেকে হতাশ হয়ে পড়েন। বিশেষ করে স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতারা…
আমরাতো ‘পাঠশালা’ নিয়ে এখনো বেশ উত্তেজিত। কিন্তু এই ছবি নিয়ে দেড় বছর আগে আমাদের যে উত্তেজনাটা ছিলো সেটা আজকের তুলনায় অন্তত দশ গুন বেশি ছিলো! বিগত দেড় বছরে ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে আমরা যে সাফার করেছি এটা বলার মত না। দৌড় ঝাঁপতো ছিলোই, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলো না। এমনকি আমাদের ফিল্মের দৈর্ঘ্য নাকি একটা ঝামেলার। সব মিলিয়ে গত দেড় বছর খুবই তিক্ত সময় গেল।
প্রথম ছবি করতেই এসেই ভুগান্তি…
এটাকে আমরা টিউশন ফি হিসেবে নিয়েছি। কারণ এটাতো আমাদের প্রথমবার। এই যে সিনেমা নিয়ে এখন নিজেরাই দৌড়াচ্ছি, পরশু সিলেট যাচ্ছি। মানুষের সাথে কথা বলবো, এগুলোকে আমি মনে করি একটা গ্রাউন্ড তৈরি করবে। বিভিন্ন জায়গায় মানুষের কাছে সিনেমা নিয়ে যাবো, এগুলো আমাদের নেক্সট সিনেমার জন্য কাজে লাগবে। যতটুকু সাফার করেছি তাতো করেছিই, সামনে থেকে আর ছবি ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে এমনটা হবে না বলেই মনে করছি। মিনিমাম যে ডিস্ট্রিবিউশন স্কিলটা হয়েছে, আগামি প্রজেক্টের জন্য এটা খুবই কাজে লাগবে বলেই মনে হচ্ছে আমাদের। আর আমরা প্রথম থেকেই ছবিটি নিয়ে জানতাম যে ‘পাঠশালা’ এমন একটা ফিল্ম যে ফিল্মে শাকিব খান নেই, এটা একশো হলে বা পঞ্চাশ হলে যাবে না। তবে মিনিমাম কিছু হলতো আমাদের অন্তত টার্গেট ছিলো। কিন্তু সেই প্রসেস করতে যেয়ে দেড় বছর লেগে যাবে এটা আমাদের ধারণাতেই ছিলো না।
এটাকে আমরা টিউশন ফি হিসেবে নিয়েছি। কারণ এটাতো আমাদের প্রথমবার। এই যে সিনেমা নিয়ে এখন নিজেরাই দৌড়াচ্ছি, পরশু সিলেট যাচ্ছি। মানুষের সাথে কথা বলবো, এগুলোকে আমি মনে করি একটা গ্রাউন্ড তৈরি করবে। বিভিন্ন জায়গায় মানুষের কাছে সিনেমা নিয়ে যাবো, এগুলো আমাদের নেক্সট সিনেমার জন্য কাজে লাগবে। যতটুকু সাফার করেছি তাতো করেছিই, সামনে থেকে আর ছবি ডিস্ট্রিবিউশন নিয়ে এমনটা হবে না বলেই মনে করছি। মিনিমাম যে ডিস্ট্রিবিউশন স্কিলটা হয়েছে, আগামি প্রজেক্টের জন্য এটা খুবই কাজে লাগবে বলেই মনে হচ্ছে আমাদের। আর আমরা প্রথম থেকেই ছবিটি নিয়ে জানতাম যে ‘পাঠশালা’ এমন একটা ফিল্ম যে ফিল্মে শাকিব খান নেই, এটা একশো হলে বা পঞ্চাশ হলে যাবে না। তবে মিনিমাম কিছু হলতো আমাদের অন্তত টার্গেট ছিলো। কিন্তু সেই প্রসেস করতে যেয়ে দেড় বছর লেগে যাবে এটা আমাদের ধারণাতেই ছিলো না।

এটা এক দিয়ে ভালোই হয়েছে বলবো, কারণ ছবিটা যদি ডিস্ট্রিবিউটররাই সিনেমা হলে নিয়ে যেতেন তাহলে আজকে আমরা যাদের সাথে ছবিটি নিয়ে কথা বলছি, বিভিন্ন অডিটোরিয়ামে দেখানোর চেষ্টা করছি তাদের সাথে হয়তো আমাদের কানেকশানটাই হতো না। এসমস্ত প্রক্রিয়া গুলোই আমরা জানতে পারতাম না। তাছাড়া ডিস্ট্রিবিউটররা কতোটুকু স্বচ্ছ, সে বিষয়ে আমাদের কোনো ধারণা নেই। সিনেমা মুক্তি দিতে এসে আমাদের একটা লেসন হলো। যারা স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা আছেন বা সামনে সিনেমা করবেন বলে ভাবছেন তাদেরকে বলি, সিনেমা নির্মাণ ঠিকঠাক জানার পাশাপাশি এই দেশের মার্কেট ও ডিস্ট্রিবিউশনের কথাটাও মাথায় রাখতে হবে। প্ল্যান রাখতে হবে। প্রথম সিনেমা মুক্তি দিতে এসে এই পাঠ আমরা গ্রহণ করেছি।
যাইহোক, ‘পাঠশালা’ যে জনরার ফিল্ম এটাতো সরকারি উদ্যোগেই দেখানোর কথা। এ বিষয়ে কোনো আলোচনা কি করেছেন?
আমরা চেষ্টা করছি সরকার উদ্যোগ নিয়ে দেশের প্রতিটি স্কুলে ‘পাঠশালা’ দেখাক। দেশের প্রতিটি স্কুল ছবিটি দেখানো হোক এটা আমরা মনে প্রাণে চাই। সিনেমা হলে চলার পর ছবিটি দেশের প্রত্যেক স্কুলের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হোক, এখনতো প্রতিটি স্কুলেই প্রজেকশন ব্যবস্থা আছে। আমরা শিক্ষামন্ত্রণালয়ে এই প্রস্তাবটি পেশ করবো, বাকিটা তাদের ইচ্ছে।
আমরা চেষ্টা করছি সরকার উদ্যোগ নিয়ে দেশের প্রতিটি স্কুলে ‘পাঠশালা’ দেখাক। দেশের প্রতিটি স্কুল ছবিটি দেখানো হোক এটা আমরা মনে প্রাণে চাই। সিনেমা হলে চলার পর ছবিটি দেশের প্রত্যেক স্কুলের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হোক, এখনতো প্রতিটি স্কুলেই প্রজেকশন ব্যবস্থা আছে। আমরা শিক্ষামন্ত্রণালয়ে এই প্রস্তাবটি পেশ করবো, বাকিটা তাদের ইচ্ছে।
No comments